পিতল প্লেইন প্লেট –
সাইজ- ১০” ইঞ্চি (+ -)
ওয়েট- ৬৭০ গ্রাম(+/-)
পিতলের ও কাঁসার তৈজসপত্র কেন আমাদের ব্যবহার করা উচিৎ আসুন জেনে নি..!
১. পিতলে ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধক। তাই থালা-বাসন তৈরিতে এটির ব্যবহার সু প্রচুর..!
২. পেটের রোগের সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে , যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন বা অম্বলের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য এই পাত্রের জল ভাল ফল দেয়, হজমের সমস্যাও দূর হয়।
৩. একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, এই পাত্রের ব্যবহারে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে এবং দেহের টক্সিন দূর হয়। এই পাত্রে জল রেখে পান করলে মেটাবলিক রেট বাড়ে, ত্বকে কোলাজেনের পরিমাণ বাড়ে।
৪. পিতলে সহজে অক্সিডেশন হয় না ও ক্ষয় প্রাপ্ত হয় না।
৫. ইসলামে পিতলের তৈরি পাত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নেই। আলহামদুলিল্লাহ
কাঁসা ও পিতলের পার্থক্য :
কাঁসা হলো তামা ও রাং বা টিন -এর সংমিশ্রণ তৈরি ..
অন্যদিকে পিতল হলো তামা এবং দস্তার সংমিশ্রণ। পিতল কাস্টোমাইজ করা সহজ। তাই যেকোনো ব্যবহার্য জিনিস এবং গৃহসজ্জার জিনিস সবই পিতল দিয়ে তৈরি করা যায়।
কাঁসা পিতলের আসল নকল বলতে কিছু হয়না। কাঁসা মাে কাঁসাই আর পিতল মানে পিতলই।
তবে কাঁসা পিতলের রং কাছাকাছি হওয়ায় অনেকেই পিতলকে কাঁসা বলে ভুল করে থাকেন। কাঁসা কালচে সোনালী এবং কাঁসায় শব্দ করলে শব্দের প্রতিধ্বনি হয়। কাঁসার পন্য তৈরি এবং কারিগরের খরচ বেশি হওয়ায় এর দামও বেশি।
অন্যদিকে পিতল লালচে সোনালী এবং পিতলে সরাসরি টুংটাং শব্দ হয়। কাঁসার তুলনায় পিতলের দামও কম। এছাড়া কাঁসা- পিতল দুটো পাশাপাশি রাখলেও সরাসরি পার্থক্য বুঝা যায়।
কাঁসা, পিতল,তামা পরিষ্কার করার সহজ এবং কার্যকারি উপায়…
১। লবণ আর লেবুর রস: বাসন মাজার ফোমের মধ্যে একটু লবণ আর লেবুর রস নিয়ে নিন । এরপর এটি পিতল ও তামার বাসনপত্রের ওপর নিয়ে ঘষতে থাকুন, এর ফলে বাসনপত্রের কালচেভাব দূরে চলে যাবে। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন বাসনপত্র একেবারে নতুনের মত চকচক করবে।
২।তেঁতুল: তামা-পিতলের বাসন মাজার ক্ষেত্রে তেঁতুলের ব্যবহার অনস্বীকার্য। তামা পিতলের বাসনে তেঁতুল নিয়ে ঘষে দিন,তাহলে দেখবেন সেগুলি একেবারে নতুন বাসনের মত চকচক করছে।
৩।ছাই: তামা পিতলের বাসনপত্র মাজতে ছাই ব্যবহার করতে পারেন। একটা মাজুনিতে একটু ছাই নিয়ে একটু ঘষে নিলেই দেখবেন বাসনপত্র একেবারে নতুনের মতো ঝকঝক করবে।