অরিজিনাল কাসার প্লেট এবং ডিজাইন পিতলের গ্লাস ও ডিজাইন পিতলের বাটি পুরো সেট।
অরিজিনাল কাসার -১০” প্লেট, ওজন-৬০০+- গ্রাম।
বাটি -পিতলের ৪” ডিজাইন করা।
গ্লাস এর ওজন-৩৮০ গ্রাম।
কাঁসা ব্যবহারের উপকারিতা
- কাঁসার পাত্রে রাখা খাবার খেলে পাকস্থলীতে থাকা বেশ কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয় বলে জানাচ্ছে গবেষণা।
- প্রতিদিন কাঁসার গ্লাসে পানি পান করলে শরীরের দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। লিভার ও কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতেও দারুণ কাজে আসে ধাতুটি।
- রাতে কাঁসার গ্লাসে পানি রেখে পরদিন সকালে পান করুন। নিয়মিত এভাবে পানি পান করলে শরীরে তামা বা কপারের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন শরীরের কোষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, অন্যদিকে আয়রনের শোষণ হারও বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করে।
- আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি বলছে, কাঁসার পাত্রে খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাক, কোলেস্টরল এবংউচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের ঝুঁকি কমে।
- শরীরে তামার ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে কাঁসা। ফলে মস্তিষ্কে থাকা নিউরনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও স্মৃতিশক্তির বাড়ে।
- কাঁসায় থাকা তামা পানিতে লুকিয়ে থাকা ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে। তাই নিয়মিত কাঁসার পাত্রে পানি পান করলে ছোট-বড় নানা ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া
👉 ইসলামে পিতলের তৈরি পাত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নেই। আলহামদুলিল্লাহ
কাঁসা ও পিতলের পার্থক্য :
কাঁসা হলো তামা ও রাং বা টিন -এর সংমিশ্রণ তৈরি ..
অন্যদিকে পিতল হলো তামা এবং দস্তার সংমিশ্রণ। পিতল কাস্টোমাইজ করা সহজ। তাই যেকোনো ব্যবহার্য জিনিস এবং গৃহসজ্জার জিনিস সবই পিতল দিয়ে তৈরি করা যায়।
কাঁসা পিতলের আসল নকল বলতে কিছু হয়না। কাঁসা মাে কাঁসাই আর পিতল মানে পিতলই।
তবে কাঁসা পিতলের রং কাছাকাছি হওয়ায় অনেকেই পিতলকে কাঁসা বলে ভুল করে থাকেন। কাঁসা কালচে সোনালী এবং কাঁসায় শব্দ করলে শব্দের প্রতিধ্বনি হয়। কাঁসার পন্য তৈরি এবং কারিগরের খরচ বেশি হওয়ায় এর দামও বেশি।
অন্যদিকে পিতল লালচে সোনালী এবং পিতলে সরাসরি টুংটাং শব্দ হয়। কাঁসার তুলনায় পিতলের দামও কম। এছাড়া কাঁসা- পিতল দুটো পাশাপাশি রাখলেও সরাসরি পার্থক্য বুঝা যায়।
ধন্যবাদ।
কাঁসা, পিতল,তামা পরিষ্কার করার সহজ এবং কার্যকারি উপায়…
১। লবণ আর লেবুর রস;
বাসন মাজার ফোমের মধ্যে একটু লবণ আর লেবুর রস নিয়ে নিন । এরপর এটি পিতল ও তামার বাসনপত্রের ওপর নিয়ে ঘষতে থাকুন, এর ফলে বাসনপত্রের কালচেভাব দূরে চলে যাবে। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন বাসনপত্র একেবারে নতুনের মত চকচক করবে।
২।তেঁতুল;
তামা-পিতলের বাসন মাজার ক্ষেত্রে তেঁতুলের ব্যবহার অনস্বীকার্য। তামা পিতলের বাসনে তেঁতুল নিয়ে ঘষে দিন,তাহলে দেখবেন সেগুলি একেবারে নতুন বাসনের মত চকচক করছে।
৩।ছাই ;
তামা পিতলের বাসনপত্র মাজতে ছাই ব্যবহার করতে পারেন। একটা মাজুনিতে একটু ছাই নিয়ে একটু ঘষে নিলেই দেখবেন বাসনপত্র একেবারে নতুনের মতো ঝকঝক করবে।